Thursday, March 30, 2017

লিনাক্স মিন্ট ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া (ছবিসহ ধাপে ধাপে বর্ণিত)


গনু/লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সম্পূর্ণ ফ্রি, এই ফ্রি শুধু "বিনামূল্য” বোঝানোর ফ্রি নয়, এই ফ্রি হল "ফ্রিডম" (স্বাধীন/মুক্ত), এখানে আপনিই গুরু, সকল সফ্টয়্যার আপনার অধীনে কাজ করবে। আপনি যা নির্দেশ দেবেন তাই। নৈতিক ভাবেও বিশুদ্ধ থাকবেন, কারন পাইরেসি করে চালাতে হচ্ছে না।
অনেকের ইচ্ছে থাকলেও কিভাবে ইন্সটল করতে হয় তা না জানার কারণে বাধ্য হয়ে উইনন্ডোজই চালাতে হয়, যদিও এ নিয়ে অজস্র টিউটোরিয়াল ভিডিও রয়েছে, কিন্তু ইংরেজী ভীতি তো আর আমাদের কম নয়। এখানে যথা সম্ভব সহজ ভাবে বলার চেষ্টা করবো, তারপরেও যদি বুঝতে অসুবিধা হয় বা মনে কোন প্রশ্ন আসে তাহলে নির্দিধায় কমেন্ট করবেন অথবা ফেসবুকে মেসেজ পাঠাতে পারেন।

১। প্রথমে আপনাকে একটি পেনড্রাইভ নিতে হবে (৮জিবি হলে ভাল হয়, তবে ৪ জিবি হলেও অসুবিধা নেই)

২। লিনাক্স মিন্ট ডাউনলোড করে নিন (আপনার ল্যাপটপ/ডেক্সটপের র্যাম (RAM) যদি ২জিবি হয় তাহলে ৩২ বিটের আইএসও(.iso) ফাইল ডাউনলোড করবেন, আর যদি ৪জিবি বা এর বেশি র্যাম থাকে তবে ৬২ বিট আইএসও(.iso) ফাইল ডাওনলোড করবেন।) লিনাক্স মিন্টের অফিশিয়াল ডাউনলোড পেজ

৩। এখন ডিস্ক ইমেজ ক্রিয়েটর  Rufus এর অফিসিয়াল Download পেজ  এ গিয়ে ডাউনলোড করে নিন।

রুফাস (Rufus) দিয়ে যেভাবে পেনড্রাইভ বুটেবল করবেন 

৪। ধরে নিচ্ছি আপনি পেন ড্রাইভটি বুটেবল করেছেন ।

৫। এখন পেনড্রাইভটি পিসিতে লাগিয়ে রিস্টার্ট দিন, অন হবার পর বুট মেন্যু বের করুন। একেক কম্পিউটারে একেক রকম । কারো পিসিতে Esc বোতাম চাপলেই আসে তবে সাধারণত F12/F10 চাপলে চলে আসে। এতে যদি না আসে তবে F সিরিজের অন্যান্য বোতাম চেপে চেষ্টা করুন।

৬। এখন থেকে শুরু হল ইন্সটলেশনের আসল প্রক্রিয়া, যদি আপনার উইনন্ডোজ ইন্সটল করার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে অথবা না থেকে থাকে, প্রক্রিয়াগুলি সঠিক ভাবে অনুসরণ করুন। 
 
<প্রথম ধাপ>: স্ক্রিনে এরকম চিত্র দেখতে পাবেন। 

   

  
Wifi / Internet Connect করে নিন।
এখন "Install Linux Mint" এ ক্লিক করুন। 

<দ্বিতীয় থাপ
ভাষা সিলেক্ট করতে বলা হয়েছে, আপনার পছন্দের ভাষা নির্বাচন করে করে ‌‍'continue' চাপুন।

 'continue' চাপুন। 
এরপর আরেকটি মেন্যুৃ আসবে 
*Download update while installing 
*Install third-party software....
সিলেক্ট করে Continue চাপবেন।

<তৃতীয় ধাপ>


এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ , আপনার কম্পিউটারের তথ্যগুলি যদি সংরক্ষিত রাখতে চান তবে "Something else" চেপে continue করুন। 

<চতুর্থ ধাপ>

আপনি যে ড্রাইভে ইন্সটল করতে চান (উইনন্ডোজের সি ড্রাইভে ইন্সটল করবেন,তাহলে অন্য পার্টিশনগুলি নষ্ট হবে না) এখানে যেহেতু ড্রাইভের নাম লেখা নেই তাই সাইজ দেখে বুঝতে হবে। 
ড্রাইভটি সিলেক্ট করে চিত্রের মত (-) এ ক্লিক করুন। 
পার্টিশনটি ডিলেট হল । 

<পঞ্চম ধাপ>
এখন খালি হওয়া জায়গাটি সিলেক্ট করে (+) এ ক্লিক করুন। 

কিছু অপশন দেখতে পাবেন। 
Size: যতটুকু দেখাবে তার চেয়ে ৪ বা ৫ জিবির মত জায়গা বাদ রাখুন। 
Type of the new partition:  এখানে কিছু করার দরকার নেই। 
Use as: Ext4 Journaling file system 
Mount point: "/" সিলেক্ট করুন। Ok চাপুন। 
এরপর নতুন খালি জায়গা দেখতে পাবেন। আগনি যে ৪ বা ৫ জিবি বাদ রেখেছিলেন সেটি।
এখন ওটা সিলেক্ট করে আবার (+) এ ক্লিক করুন। 
অপশন মেন্যৃ দেখাবে । আপনি শুধু Use as : Swap area সিলেক্ট করে OK চাপুন। 
এখন ext4 পার্টিশনটি সিলেক্ট করে Install Now এ ক্লিক করুন। যা যা বলে OK করুন।

<ষষ্ঠ ধাপ

এখান থেকে আপনি যে দেশের (বাংলাদেশ/ভারত) খুঁজে বের করে continue করুন। 
কী-বোর্ড লেআউট সিলেক্ট করে continue করুন।


Your name:আপনার নাম লিখুন
Your computer name: আপনার কম্পিউটারের নাম।
Pick a user name: নাজে থেকেই নিয়ে নিবে, ইচ্ছে হলে পরিবর্তন করুন। সবগুলি অক্ষর ছোট হাতের হবে আর 
মাঝখানে স্পেস(খালি জায়গা) রাখা যাবেনা।
choose a password:পাসওয়ার্ড দিন
Confirm your password: পাসওয়ার্ড দিন
এবং continue চাপুন। 

এখন অপেক্ষা করুন। 
ইন্সটলেশন সম্পন্ন হওয়ার পর রিস্টার্ট করতে বলবে, রিস্টার্ট করুন।
আগেই পেনড্রাইভ খুলবেন না। কিছুক্ষণ পর স্ক্রিনে লেখা দেখতে পাবেন। এবার পেন ড্রাইভ খুলে এন্টার চাপুন।


আর আপনি যদি চান পুরো কম্পিউটার ফরমেট করবেন তাহলে <তৃতীয় ধাপে শুধু Erase disk and install Linux mint করবেন>
তাহলে একবারে <৬ষ্ঠ ধাপে এসে যাবেন>। 

আশাকরি সবকিছু সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। গনু/লিনাক্সের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। 

আরো দেখুন,

কেন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ফ্রী-সফ্টয়্যার ব্যবহার করা উচিৎ ?--(রিচার্ড স্টলম্যান)

Sunday, March 26, 2017

লিনাক্স মিন্ট ইন্সটলের পর যা যা করা জরুরী




উবুন্টু আর লিনাক্স মিন্ট, প্রায় একই হলেও বেশ পার্থক্য, তবে সেগুলি নিয়ে আলোচনায় যাব না। আপনি যদি লিনাক্স মিন্ট এ নতুন হন (তেমন কোন ধারণা না থাকে) তবে কিছু বিষয় অনুসরণ করা জরুরী নতুবা বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন। ধারাবাহিক ভাবে বলার চেষ্টা করছিঃ
১। টার্মিনালে যান ( ctrl+alt+T )
২। লিখুন, sudo su
৩। apt update
৪। apt upgrade
৫। apt-get update
৬। apt-get upgrade

আপগ্রেড করার সময় যা যা চাইবে সেখানে Y লিখে এন্টার কী চাপবেন।

৭। sudo apt install g++
লিনাক্স মিন্টে সি(C) প্রোগ্রাম রান করানোর জন্য এটা প্রয়োজন, তা না হলে কম্পাইলার ইরর দেখাতে পারে।


×××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
×××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××


গনু/লিনাক্স অলাভজনক কমিউনিটি নির্ভর সেবা, তাই আপনি সমস্যায় পড়লে যারা জানে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করুন, আর আপনি কিছু জেনে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। 



আরো দেখুন,


কেন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ফ্রী-সফ্টয়্যার ব্যবহার করা উচিৎ ?--(রিচার্ড স্টলম্যান)

Saturday, March 25, 2017

টার্মিনালের মজা

১০টি মজার কমান্ড নিয়ে বলা যেতে পারে, নতুন ব্যবহারকারীরা বেশ নির্মল মজা খুঁজে পেতে পারেন! 

Wednesday, March 22, 2017

উবুন্টু (Ubuntu) / লিনাক্স মিন্ট (Linux Mint) এ বাংলা লেখার পদ্ধতি (বিজয় স্টাইল)


অধিকাংশ নতুন উবুন্টু/লিনাক্স-মিন্ট (গনু/লিনাক্স ডিস্ট্রো) ব্যবহারকারীরা বাংলা টাইপ করাতে সমস্যার পড়ে যান, অনেকে তাই  "প্রভাত কী-বোর্ড লেআউট" শেখার জন্য নির্দেশনা দেন। ইচ্ছে করলে আপনি ওটা শিখতে পারেন, তবে যারা আমার মত আনাড়ি (দেখে দেখে টাইপ করতে হয়) তাদের জন্য "বিজয় লেআউট" ই সুবিধাজনক ।
তাহলে চলুন দেখা যাক কিভাবে "ইউনিজয়" ইন্সটল করে বাংলা লেখা যায়।
সতর্কতার সাথে নিচের নির্দেশগুলি অনুসরণ করুন,
১ম ধাপ:
টার্মিনাল চালু করুন (Ctrl+Alt+T)
২য় ধাপ:
sudo apt-get install ibus-m17n m17n-db m17n-contrib ibus-gtk টাইপ করুন  এবং এন্টার-কী চাপুন।
পাসওয়ার্ড দিতে বলবে, পাসওয়ার্ড দিন এবং ইন্সটল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩য় ধাপ:
ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকলে টার্মিনালে লিখুন ibus-daemon -xdr এবং এন্টার-কী চাপুন।
৪র্থ ধাপ:
×উবুন্টুর জন্য:
এখন কী-বোর্ড লেআউটে গিয়ে ibus লিখে search দিন আর সেখান থেকে Bengali (unijoy (m17n)) সিলেক্ট করুন।

×লিনাক্স মিন্টের জন্য:
Menu তে যান, ibus লিখে সার্চ দিন, ibus preferences এ যান, তারপর সেখান থেকে input method, add এ ক্লিক করুন, সেখানে Bengali লিখে সার্চ করুন, Bengali তে ক্লিক করে সেখান থেকে unijoy (m17n) সিলেক্ট করুন।

[
লিনাক্স মিন্টের আপডেট ভার্সনে বাংলা লিখার ক্ষেত্রে কেউ কেউ একটি সমস্যার  সম্মুখীন হচ্ছেন তা হল ibus দিয়ে বাংলা লিখলেও ইংলিশ অক্ষর উঠছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে আরো কয়েকটি টুলস্ ইন্সটল করে নিতে হবে ।
(১) ibus-clutter
(২) ibus-gtk
(৩) ibus-gtk3
(৪) ibus-qt4

এগুলি আপনি সফ্টয়্যার ম্যানেজার (Software Manager) অথবা সাইন্যাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজার (Synaptic Pakage Manager) এ সার্চ দিলেই পাবেন।

এগুলি ইন্সটল করার পর কম্পিউটারটি রিবুট(রি-স্টার্ট) করুন।

এবং টার্মিনালে লিখুন 
ibus-daemon -xdr তারপর Enter চাপুন।
]

ব্যাস! কাজ সম্পন্ন হল । এখন মনের সুখে মায়ের ভাষায় লিখুন ।
ও.......আর একটি কথা, কী-বোর্ড লেআউট পরিবর্তন করার জন্য Super/Win key+space চাপুন, কাজ না হলে ২-৩ সেকেন্ড ধরে থাকুন।

আর অবশ্যই শেয়ার অথবা কপি-পেষ্টের মাধ্যমে আপনার বন্ধুদের সাহায্য করতে ভুলবেন না।




আরো দেখুন,
 

Tuesday, March 21, 2017

উইনন্ডোজের অপকারীতা / কেন উইনন্ডোজ ব্যবহার করবো না


শিরোনাম পড়ে অদ্ভুত লাগতেই পারে, অথবা ভাবতে পারেন, ব্যাটা বলে কি, আরেকটু উঁচু স্তরে গিয়ে দার্শনিকের মত মাথা ঝুঁকিয়ে বলতে পারেন "মাথা খারাপ!", এসব না হলে, অন্তত আপনার মনে এ প্রশ্নটা আসা উচিৎ, "যে উইনন্ডোজের (মাইক্রোসফট) বিল গেটস পৃথিবীর এক নাম্বার ধনকুবের, তার আবার অপকারীতা কি হতে পারে? ছোটদের গেমসে আসক্তি বোধয়!!
এসব ভাবতেই পারেন, কিন্তু এখানে এসব লিখতে বসি নি, বলতে চাচ্ছি অন্য কথা।
আমরা বাংলাদেশ বা ভারতে যারা বাস করি, দু'টি উন্নয়নশীল দেশ। উন্নত নয়। তবে ১০-১৫ বছরের মধ্যে সে তালিকায় ঢুকে যাবো। এখন প্রযুক্তির যুগ, মানুষ এর কাঁধে ভর করেই এগিয়ে যাবে, তাই প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিক জীবন কল্পনা করা যায় না, আর কল্পনা করা গেলেও বাস্তবে সম্ভব নয়। আর এর প্রধান হাতিয়ার হল "কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট", কম্পিউটারের কথা এলেই এসে যায় অপারেটিং সিস্টেমের কথা। কম্পিউটারের আদিযুগে ছিল "ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম " (এখনো আছে), তারপর আরো বিভিন্ন অপারেটিংসিস্টেম তৈরী হয়েছিল, কিছু টিকে আছে, কিছু নেই, এদের মধ্যে বর্তমানে বহুল প্রচলিত হল "উইন্ডোজ, ম্যাকিন্টোস আর গনু/লিনাক্স (GNU/Linux)
এসব কাজ করে এখন যদিও ভালো লাগে,মনে মনে ভাবি শালার গবেটরা কিছুই জানে না! নিজেদের চালাক ভাবি সেটা কি ভুল ভাবা নয়?
তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যদি ফ্রিতেই চালানো যেত, আপনিই বলুন, বিল গেটস কি বিশ্বের এক নম্বর ধনী হতে পারতেন?
আসলে আমরা যে এভাবে উইন্ডোজ চালাচ্ছি, এটাও ওদের ব্যবসার অংশ, কিভাবে?
আব্বুর কাছে একটা গল্প শুনেছিলাম, পাকিস্তান আমলে নাকি ডেকে ডেকে চা খাওয়াতো আর খাওয়া শেষে হাতে কয়েক প্যাকেট ধরিয়ে দিত, বাড়িতে নিয়ে খাওয়ার জন্য...এর ফল তো এখন মোড়ে মোড়ে দেখা যায়, নয় কি?
আসল কথা হচ্ছে অভ্যাস, মাইক্রোসফ্টের কুটিল চক্রান্ত এটা, বিনামূল্যে ব্যবহার করছি (চুরি করে), আর এটাই শিখছি, স্কুল-কলেজ কিংবা কম্পিউটার সেন্টারে কম্পিউটার শেখা বলতে মূলত উইনন্ডোজের ব্যবহারই শেখানো হয়।
যখন আমাদের দেশ ধনী দেশের তালিকায় যাবে, মাইক্রোসফট চাইবেনা আমরা ফ্রি তে ব্যবহার করি, তখন? সারা দেশের কম্পিউটার ব্যবস্থা অচল হয়ে পরবে, নিরুপায় হয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ওসব কিনতে হবে, আর দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাবে বিদেশিদের পকেটে।
বাংলাদেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীই উইন্ডোজ অপারেটিংসিস্টেম ব্যবহার করেন আর সরকারী/বেসরকারি অফিস, স্কুল,কলেজ, হাসপাতাল, কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও এটি বহুল ব্যবহৃত, তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, অধিকাংশই বিনামূল্যে ব্যবহার করেন।
সাধারণ ব্যবহারকারীগন জানেনই না যে উইন্ডোজ টাকা দিয়ে কিনতে হয়! সাথে সফ্টয়্যারও কিনতে হয়। যেমন মাইক্রোসফট অফিস(word, excel, PowerPoint) ,, অ্যাডোবি ফটোসপ(Adobe PS),এডোবি ইলাস্ট্রেটর, পিসপাইস(Orcad Pspice )..... প্রয়োজনীয় যেগুলি, বিনামূল্যে নয়।
আমরা তো ৫০ টাকার সিডি দিয়েই হাজার হাজার টাকার সফ্টয়্যার ইন্সটল করে ফেলি। গেমস এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার।
দ্বিতীয়ত, আজকের তারুণ্য, আগামী দিনের নেতৃত্ব, তারুণ্য মানে সজীবতা, উন্মাদনা নয়।
দেশের হাল শক্ত হাতে ধরতে চাই বলিষ্ঠ মানসিকতা আর যোগ্যতা, জ্ঞান এবং আত্মপ্রত্যয়, তাই আজকের তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে দেশের উন্নয়নে। উইন্ডোজ বর্জনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যতের টাকা সঞ্চয়ের এক শুভ সূচনা করা যেতেই পারে।

তৃতীয়ত নিরাপত্তার ব্যাপার, উইন্ডোজ নিজেদের বহুমুখী ব্যবসা ধরে রাখার জন্য অনেকটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা দূর্বল করে রাখে, এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে রমরমা অ্যান্টিভাইরাসের ব্যবসা। আর এটা বন্ধ হবার কোন সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতেও নেই। কেননা উইন্ডোজের সোর্সকোড উন্মুক্ত নয়।
কেউ ভাবতে পারেন "আমি আর এমুন কি যে আমার পিসি হ্যাক হবে? ", আপনি কি সেটা বড় কথা নয়, কথা হচ্ছে কেন আপনি কাউকে এমন সুযোগ দেবেন?
চতুর্থ বিষয় হল জ্ঞান চর্চা, কম্পিউটার একটা যন্ত্র, নিছক যন্ত্র, আর আপনি মানুষ, কেন যন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবেন?
উইনন্ডোজ সফ্টয়্যার ডেভেলপারগণ এমন কিছু সফ্টয়্যার বানিয়েছে আর বানাচ্ছে যেগুলি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে, কোরতানা, এর উদাহরণ। আর যেহেতু আপনি সোর্সকোড দেখার সুযোগ পান না, তাই এটাও জানেন না যে প্রগ্রামগুলি কিভাবে কাজ করে, তাই বলা যায় উইনন্ডোজ ব্যবহার করা মানে তৃতীয় কারো কাছে নিজের র্কতৃত্ত ছেড়ে দেওয়া, কেন এমনটা হতে দেবেন?
এত কথা শোনার পর নিশ্চই প্রশ্ন করবেন, "তবে বিকল্প কি? "

★উইনন্ডোজের বিকল্প হবে এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যেটা বিনামূল্যে পাওয়া যায়, সোর্সকোড উন্মুক্ত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী এবং স্বকীয়।
আপনার উচিৎ নেটে এ নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাঁটি করা, তবে সে সময় যদি আপনার না থাকে, তবে বলে দিচ্ছি, GNU/Linux এর সকল ডিস্ট্রো।
তবে আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, আপনার জন্য কয়েকটি ডিস্ট্রোর নাম দিচ্ছি,
১। লিনাক্স মিন্ট (Linux Mint)
২। যুবুন্টু অথবা কুবন্টুু (xubuntu or kununtu)
৩। মানজারো (Manjaro)
৪। দেবীয়ান (Debian)
আর যদি আপনি হ্যাকার হোন তবে,
৫। কালি লিনাক্স (Kali Linux)
সবার জন্য শুভকামনা রইল।



আরো দেখুন,

কেন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ফ্রী-সফ্টয়্যার ব্যবহার করা উচিৎ ?--(রিচার্ড স্টলম্যান)

Sunday, March 12, 2017

কেন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রি-সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিৎ ?--(রিচার্ড স্টলম্যান)



মুক্ত(Free) সফ্টওয়্যার চিন্তাধারার জনক রিচার্ড স্টলম্যানের বক্তব্য অনুবাদ, বক্তব্যের সময়কাল ২০০৮ সাল।
আর একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, তা হল "ফ্রি" বলতে মুক্ত/উন্মুক্ত/ব্যবহারের_জন্য_স্বাধীন এমন বোঝানো হয়েছে, টাকা-পয়সা নয়।
Link: মূল বক্তব্য (English)
____________________________________

আমি রিচার্ড স্টলম্যান। আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে ফ্রি সফটওয়্যার এর পটভূমি গড়ে তুলি। ফ্রি সফটওয়্যার হল সেই সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নন-ফ্রি সফটওয়্যার হল মালিকানা ভুক্ত; যা ব্যবহারকারীকে স্বাধীন ভাবে তা ব্যবহার করার সুযোগ দেয় না, এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী বিচ্ছিন্ন এবং অসহায়।
তারা বিচ্ছিন্ন কারণ সফ্টওয়্যার প্রস্তুতকারক তাদের ওটা বিতরণ করার ক্ষমতা দেয় না, আর তারা অসহায় কারণ তারা সোর্স কোড দেখার সুযোগ পায় না। এজন্য তারা তা পরিবর্তনও করতে পারে না, আর কখনও জানতেও পারেনা প্রোগ্রামটি আসলে কি করছে। এটা খুবই বাজে ব্যাপার।
ফ্রি-সফ্টওয়্যার বলতে বোঝায় এটা এমন সফ্টওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের চার রকমের স্বাধীনতা(Freedom) দেয়:
Freedom 0 হল সেই স্বাধীনতা যা ব্যবহারকারীকে সব ক্ষেত্রেই প্রোগ্রামটি চালানোর সুযোগ দেয়।
Freedom 1 হল সেই স্বাধীনতা যা ব্যবহারকারীকে এর সোর্স কোড দেখতে দেয় আর সুযোগ দেয় ইচ্ছেমত পরিবর্তন করার।
Freedom 2 হল প্রতিবেশী কে সাহায্য করা; এর মানে হল তুমি সোর্স কোড পরিবর্তন করে যা বানিয়েছ ওটা বিতরণ করার ক্ষমতা।
Freedom 3 হল নিজস্ব সংঘ গড়ে তোলার ক্ষমতা, যেখানে তুমি তোমার পরিবর্তন করা প্রোগ্রামের অনুলিপি বিতরণ করতে পার।
এই চার ধরণের স্বাধীনতা সম্বলিত ফ্রি সফ্টওয়্যার এর ব্যবহারকারীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেগুলি বিতরণ করার সামাজিক বৈধতা দেয়।
তারপর, স্কুলগুলোর উচিৎ শুধুমাত্র শ্রী সফ্টওয়্যার এর উপর শিক্ষা দেওয়া। এরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।
সবচেয়ে প্রাথমিক কারণ হল টাকা বাঁচানো। স্কুল ফান্ডের যথেষ্ট টাকা থাকে না তাই অহেতুক মালিকানা ভুক্ত সফ্টওয়্যার কিনে টাকা নষ্ট করার কোন মানে হয় না। আর একটি ব্যপার হল, কিছু মালিকানাভুক্ত সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান স্কুলগুলোকে তাদের নন শ্রী সফ্টওয়্যার গুলো বিনামূল্যে অথবা খুব কম টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করতে দেয়।
এর কারণ তারা ছাত্র-ছাত্রীদের ওই সফ্টওয়্যার গুলোতে আসক্ত করাতে চায়। খুবই ক্ষতিকর চক্রান্ত এটা। তাদের চক্রান্ত অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীরা ওই সফ্টওয়্যার গুলোর প্রতি স্থায়ী ভাবে আসক্ত হয়ে পড়ে।
যদি কোন স্কুলে মালিকানাভুক্ত নন ফ্রি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা শেখানো হয় তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে করতে এগুলির প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যাবে। আর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর এগুলি টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করতে হবে। তারা নিশ্চয়ই কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে চাকরি করবে, সেখানে নিশ্চই ঐ কোম্পানী গুলো তাদের নন ফ্রি সফ্টওয়্যার ফ্রিতে ব্যবহার করতে দেবে না।
তারপর, মালিকানাভুক্ত সফ্টওয়্যার প্রস্তুতকারকেরা আসলে স্কুলের মাধ্যমে পুরো সমাজটাকেই জিম্মি করে ফেলে। তাই স্কুলগুলোর অবশ্য কর্তব্য হল তাদের এই ক্ষতিকর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন রকম সহযোগীতা না করা। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, যারা হবে সৃজনশীল, স্বাধীন এবং স্বেচ্ছাসেবক। মুক্ত সফ্টওয়্যার ব্যবহারে উপযুক্ত শিক্ষা দেবার মাধ্যমেই এটা করা সম্ভব। স্কুলগুলোর কর্তব্য হল ওইসব নন ফ্রি সফ্টওয়্যার বর্জন করে ফ্রি সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা।
এর চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ : ভাল প্রোগ্রামার হওয়া, প্রোগ্রামিং এ দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন প্রচুর প্রোগ্রাম কোড পড়া এবং লেখা। ভাল ভাবে বড় প্রোগ্রাম লেখার জন্য দরকার ভাল ভাবে বড় প্রোগ্রামের ছোট অংশ লেখা। শুধুমাত্র ফ্রি সফটওয়্যারেই এটা করা সম্ভব। শুধুমাত্র ফ্রি সফ্টওয়্যারই এর সোর্সকোড পড়ার সুযোগ দেয়।
এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কারণ : সুনাগরিকতার শিক্ষা দেওয়া, স্কুলের লক্ষ্য শুধুমাত্র কারিগরি দক্ষতা অর্জন করানোতে সীমাবদ্ধ নয়, আরো মহান কিছু, এটা হল সহযোগিতার মনোভাব এবং অভ্যাস গড়ে তোলা।
আর ক্লাসের এই নিয়মটা থাকা উচিৎ, তা হল , কেউ কোন প্রোগ্রাম লিখলে তা সবার মাঝেই বিতরণ নিশ্চিত করা আর এটা প্রচার করা, ক্লাসে শুধু মাত্র ফ্রি সফ্টওয়্যার দেখাতে পারবে।
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই করণীয় হল ফ্রি সফ্টওয়্যার ব্যবহারে বিশেষ ভাবে গুরুত্বারোপ করে সমাজকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া।
ধন্যবাদ।


আরো দেখুন,

Friday, March 10, 2017

GNU/Linux (গনু/লিনাক্স)


লেখাটা গনু/লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে নয়, এ বিষয়ে জানতে ভিজিট করতে পারেন GNU Project , Linux News অথবা গুগলে "Linux " লিখে সার্চ দিন, আর বাংলায় জানতে চাইলে "গনু/লিনাক্স " লিখে সার্চ করতে পারেন। যা হোক,
লেখার উদ্দেশ্য হল নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা।
আসুন প্রথমে দেখা যাক কম্পিউটার দিয়ে আমরা কি কাজ করি?
কম্পিউটারের বাংলা প্রতিশব্দ "গণনা যন্ত্র" হলেও আমরা অন্তত এই কাজে নিশ্চই ব্যবহার করি না, টুকটাক হিসাব ফোনেই করি। আমরা যেটা করি তা হল মুভি দেখা, বিশেষ করে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় যারা থাকি।
আর একটা কাজ তা হল ইউটিউবে ঘাটাঘাটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আর একটি বিশেষ কাজ, "প্রেজেন্টেশন বানানো",  তারপর কেউ আছে বই প্রেমী,  বই পড়তে ভালোবাসে, কেউ আর্টিস্ট,  আর্ট করতে পছন্দ করে, কেউ ডিজাইনার,  বিভিন্ন ডিজাইন করে, প্রোগ্রামার, বিভিন্ন প্রোগ্রাম বানায়, কেউ আবার ফটোশপের কাজ করে, কেউ আবার গ্রাফিক্যাল আর্ট করে, কেউ ডিভিডি বার্ন করে,  কেউ বা ওয়েব ডিজাইন, কেউ কেউ আবার গল্প কবিতা টাইপ করে লিখে.... এই হচ্ছে মোটামুটিভাবে আমাদের দৈনন্দিন কাজ।
আর এসব করতেই বিশেষ ভাবে পিসি ব্যবহার করি।
আমরা পিসি বলতেই বুঝি উইন্ডোজ, কোন ফ্রেন্ড নতুন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনলে প্রথমে জিজ্ঞেস করি,
"উইন্ডোজ কত?" (দাম কত তা নয়, ভার্সন।  এটা যে দাম দিয়ে কেনার জিনিস তাই বা কয়জন জানে?) 
মাঝে মাঝে আবার শুনি, "ধুর শালা, ভার্সিটির পিসি তে পেনড্রাইভ দিছিলাম, এখন আমার কম্পিউটারটা শর্টকাট হইয়া গেছে", কারো কারো ফাইল আবার ভাইরাসে খেয়ে ফেলে,... কারো পিসি আবার স্লো হয়ে যায় (হ্যাং করে),  সঠিক ড্রাইভার ইন্সটল করতে না পেরে কারো পিসিতে আবার ভিডিও চলে না। .....
এরকম হাজারো সমস্যা....সমাধান হল স্বঘোষিত হ্যাকার বন্ধুর ( যে কিনা কম্পিউটার ভাল বুঝে, পেইড সফ্টয়্যার মাগনা ইন্সটল করতে পারে...(অনেক কিছু জানে!))  কাছে ছোটা, "দোস্ত, উইন্ডোজ ১০ মাইরা দে..",  আর দুর্ভাগ্য জনক ব্যাক্তি যার এমন বন্ধু নেই, তারা ছোটে আইডিবি, ১০ নাম্বার অথবা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে, উইন্ডোজ দেওয়ার জন্য।
___________________________________________________________
চলুন এবার দেখা যাক গনু/লিনাক্স(GNU/Linux) অপারেটিং সিস্টেমে কি আছে আর কি নেই,
যা আছে(আলাদা করে ইন্স্টল দেয়া লাগে না):
১।  ড্রাইভার প্যাকেজ (আপনার পিসির জন্য যেটা সাপোর্টেড)
২। সি কম্পাইলার (জিসিসি)
৩। অডিও টুলস
৪। নেট ব্রাউজার
৫। ভিডিও প্লেয়ার
৬। আনজিপ/আনরার টুলস
৭। ডিস্ক/পেনড্রাইভ বার্নার
৮। লিব্রে অফিস টুলস (Word,Exell,Power point, Math, Database)
৯। শক্তিশালি টার্মিনাল (BASH)
১০। সফ্টয়্যার ম্যানেজার (এন্ড্রয়েডে যেমন প্লে-স্টোর থাকে)
১১। পিডিএফ/ডকুমেন্ট রিডার

আরো অনেক কিছুই থাকে, যেগুলি উইনন্ডোজে ইন্স্টল করে নিতে হয়, তার কিছু চিন্হিত অংশ বলা হয়েছে।

আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল "সম্পূর্ণ ফ্রী"।
_____________________________________________________________
আর যা যা নেই,
১। ভাইরাস (আপনি খু্ঁজেও পাবেন না)
২। শর্টকাট সমস্যা
৩। হ্যাং মেরে বসে থাকা
এসব গনু/লিনাক্স এ থাকে না।

____________________________________________________________
হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, এত ভাল-অত ভালো, তাহলে ব্যবহারকারী কম কেন?
#ব্যপারটি হল প্রচার ,
যেহেতু এটা সম্পূর্ণ ফ্রী , ডেভেলাপার রা বিনা পারিশ্রমিকে তৈরী করে, বিজ্ঞাপণের খরচ কে দেবে?
আর বলতে পারেন সস্তার তিন অবস্থা.....#উত্তর হল, এটা আপনার ভুল ধারণা।
___________________________________________________________
আজ এ পর্যন্তই, পরবর্তী পোস্টে GNU/Linux এর সফ্টয়্যার নিয়ে আলোচনা করা হবে।
______________________________________________________________
পোস্টটি শেয়ার করে অথবা কপি-পেস্ট করে গনু/লিনাক্স প্রচারে সহায়তা করুন। ক্রেডিট দেওয়া না দেওয়া আপনার ব্যপার।


আরো দেখুন,



Simple Screen Recorder এবং ফেসবুকে স্ক্রিন শেয়ারিং এর Black Screen সমস্যার সমাধান

 লিনাক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমে GNOME Interface ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ ফেসবুকের ভিডিও কলে স্ক্রিন শেয়ারিং অপশনে কিংবা সিম্পল স্ক্রিন রেকর্...